ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল সম্পন্ন
চবি প্রতিনিধি: ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তনের সাথে সাথে ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসও মলিন হতে বসেছে। ছাত্রদের যৌক্তিক অধিকার আদায়ে ছাত্ররাজনীতির যে নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে সেটা আজকের তথাকথিত ছাত্রনেতারা জানেই না। তাদের কাছে ছাত্ররাজনীতি মানে হলো টেন্ডারবাজি, হল দখল, নারী কেলেংকারী। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক অধিকার আদায়ের পরিবর্তে তারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ করছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় এসব তথাকথিত ছাত্রনেতারা প্রশাসনের নাকের ডগায় অপরাধ সংগঠিত করলেও প্রশাসনের নীরব ভুমিকা তাদের অপরাধকর্মে উৎসাহ প্রদান করছে। অদ্য ৮ জুলাই ২০২৩ ইং, শনিবার, বিকাল চারটায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, নৈতিক শিক্ষাকে বাদ দিয়ে তথাকথিত আধুনিক শিক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের যে পাঠ দেয়া হচ্ছে তা শিক্ষিতের হার বাড়ালেও নৈতিক অধঃপতন ঠেকাতে পারছে না। ফলে দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি বিরাজ করছে। মুহাম্মদ তৈয়ব উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন রব্বানী। সভায় মুহাম্মদ তৈয়ব উল্লাহকে আহবায়ক এবং মুহাম্মদ ইলিয়াস সানী মুন্নাকে সচিব করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।